মুক্তির খোলা চিঠি

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে মোকতেল হোসেন মুক্তি‘র খোলা চিঠিঃ
আর আমাদের বেচে থেকে কী লাভ? কোন শক্তিমত্তায় কোন মূখে, কোন ভরসায় আমরা স্বাধীনতার কথা বলবোএতো রক্ত এতো প্রাণ বলি দেবার পরেও বাঙ্গালীর ভাগ্য কেনো যেনো সুপ্রসন্ন হচ্ছেনা। কেমন যেনো অযাচিত দুর্ভোগ আর দুর্যোগের ঘনকালোমেথ কেবলই কেড়ে নেয় মায়ের মূখের হাসি। এখন আর বলার সাহস হয়না, মাগো, আমি তোমায় ভালোবাসি।“জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু” বলতে যেনো সেই ৭১র মতো ভয় করে! পাছে হায়েনার দল আবার উলঙ্গ করে যদি দেখতে চায় আমি হিন্দু না মুসলমান? বুকের ভেতরটা শির শির করে ওঠে এই বুঝি ৭১র ঘাতক দালাল জামাত রাজাকারের বংশোদ্ভূত হিংস্র শুয়োরগুলী বিষ দাঁত বসিয়ে দেয় কিনা? সেই ভয়ে! কাল বৈশাখী ঝড়ের মতো, বাংলার আকাশে আবারো পশ্চিমা ড্রাকুলা হায়েনার হিংস্র থাবা, না জানি কেড়ে নেয় কতো মা’র বুকের সন্তান?
আমরা আমাদের সব কিছু থাকা সত্বেও পঙ্গু অথর্ব লাচার বাঙ্গালী জাতি হিসেবে বেচে থাকতে চাইনা। দেখতে চাইনা আর একটি জঙ্গিবাদী পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাঙ্গালীর পরিচিতি। কি লাভ হল ৩০ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে কুড়িয়ে পাওয়া স্বাধীনতা পেয়ে? এ স্বাধীনতার মানে কী? ৪২ বছর পরেও যখন হায়েনা পশুর অবৈধ শুয়োরের বাচ্চা স্বাধীনতার পীঠ কামড়ে দেয়, তখন কি করে বলি আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের মানুষ সুখে শান্তিতে একটি জাতিরাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উচু করে দাড়াতে পেরেছি? আসলেই কি পেরেছি? আমাদের স্বাধীনতা কি আদৌ মায়ের কোলে ঘুমন্ত নির্বোধ দুধের শিশুর মতোই নিরাপদ? আমরা কি নিরাপদ জাতি? আমাদের সন্তানেরা কি নিরাপদ? আমাদের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কি নিরাপদ? কে নিরাপদ এই দুষ্টাচার ভ্রষ্টাচার হায়েনা নরপশুদের হিংস্র ছোবলের কাছে? গত দু’দিনের ধ্বংসলীলা দেখে এ কথা বড় সাহসের সাথেই লিখতে ইচ্ছে হল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। তাই বলছিলাম,

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আসুন এখনি সময় এই ৭১ এর ঘাতক দালাল নরপশু পিশাচ ড্রাকুলার বংশধর শিবিরের হাত থেকে দেশের মানুষ এবং জন সম্পদ রক্ষার জন্য আর একটিবার বিবস্ত্র মায়ের লুন্ঠিত লজ্জার আবরণ রক্ষার্থে আপনার একটি নির্দেশ ই যথেষ্ট। আমাদের সন্তানেরা আপনার সাথে থাকবে বুকের শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত তারা বাংলা মায়ের বুকে কোন পাকিস্তানী ঘাতক দালালের বংশধরদের অরাজকতা, ধর্মের নামে হিংসা বিদ্বেষ হানাহানি, অকারনে রক্তের হলিখেলাখেলতে দিবেনা। আমরা যেমন যুদ্ধ করে ৭১ এই হায়েনা পশুদের পরাজিত করে মহান স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলাম। যে স্বাধীনতার জন্য আমার লক্ষ লক্ষ মা  বোন তাদের সোনালী সম্পদ দেশের জন্য বিলিয়ে দিয়ে গেছে। যে স্বাধীনতার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর সঙ্গীসাথীরা সারাটি জীবন জেল জুলুম অত্যাচার নির্যাতন নিষ্পেষণে পিছু হটেনি, যে স্বাধীনতার জন্য ৩০ লক্ষ তাজা ফুল অকাতরে ঝরে গেলো। সে হাজার বছরের স্বপ্ন সোনার বাংলাদেশকে রক্ষা করার জন্য আবারো ৭১ এর চেতনায় জাতিরজনকের আদর্শে বিশ্বাসী সইনিকেরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে ঝাপিয়ে পরবে। প্রত্যেক মহল্লায় মহল্লায় এদেরকে খুজে বেড় করে উপযুক্ত শাস্তির বিধান করুন। এর ছাড়া আমাদের আর কোন পথ খোলা নেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী । আপনি এদের নির্মূলের জন্য নির্দেশ প্রদান করুন। এ পতাকা জাতির জনকের রক্তে লেখা, এ পতাকা জাতীয় ৪ নেতার রক্তে রঞ্জিত, এ পতাকা চট্টলার বাবু ভাইয়ের, শরিয়তপুরের রাজ্জাকভাইয়ের সারা জীবনের কঠোর পরিশ্রমের ফসল। আপনি তো সব হারিয়েছেন। আপনার আর হারাবার ভয় কিসে? এখনি নির্দেশ দান করুন। ওদের এই বাংলায় ঠাই নেই। ওদের প্রভু, ওদের জন্মদাতা হায়েনা ঘাতক দালাল ৭১ এর রাজাকারদের অনতিবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করে বিশ্বকে দেখিয়ে দিন।জানিয়ে দিন যে, শেখ হাসিনা তাঁর “মা বাবা ভাই ও আত্বীয় পরিজন সব হারিয়েও এতো টুকু পিচপা’ হয়নি ৭১ এর ঘাতক দালাল রাজাকারদের ফাঁসি দিতে। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।

No comments:

Post a Comment