১৯৩৬ সালের এই দিনে বগুড়া
জেলার বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান -
১। যিনি সেনাবাহিনীতে চাকরিরত
অবস্থায় ১৯৭১ সালে বিদ্রোহ করে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৭ মার্চ
বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন ।
২।যিনি মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর ও
ফোর্স অধিনায়ক ছিলেন যার বিরুদ্ধে মুজিবনগর সরকার/ সিইনসি ওসমানী শাস্তিমূ্লক
ব্যবস্থা নেয় ।
৩।যিনি ১৯৭৫ সালে
ঘাত-সংঘাতময় সময়ের এক দু্র্বোধ্য চরিত্র ছিলেন !
৪। যিনি ৭ নভেম্বর '৭৫ এ জাসদের বীরউত্তম কর্নেল
তাহেরের [৩]পরিকল্পনা ও উদ্যোগে পরিচালিত কথিত সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে
মুক্তিযুদ্ধের বীরসেনানি খালেদ-হায়দার-হুদার
লাশের উপর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হন ২য় ফিল্ড
রেজিমেন্টে ও ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের অফিসার ও সৈনিকদের প্রত্যক্ষ মদদে ।
৫। যিনি তাহেরের সাথে প্রথম
দেখায় (৭ নভেম্বর '৭৫) তাকে আলিঙ্গন করে বলেন
-"ইউ আর মাই ব্রাদার ,
ইউ আর মাই সেভার"
। আর ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে অধিষ্ঠিত হয়ে তাহের আর সিপাহিদের উপহার দেন ফাঁসি ।"Hang them by
the neck till they are dead" -General Ziaur Rahman. বীরউত্তম তাহেরের ফাঁসি
তদারকি করেন বীর উত্তম মীর শওকত ।
৫। বলা হয়, জিয়া তাহেরের সাথে বেঈমানি
করেছেন । কথা সত্য কিন্তু জিয়া কার সাথে বেঈমানি করেননি ? বিধায়, জিয়ার পাওয়ারে আসার পাঁচ
মাসের মধ্যেই কর্নেল রশিদ-কর্নেল ফারুক জিয়ার বিরুদ্ধে ক্যুর উদ্যোগ নেয় ।
৬। যার আমলে ১৯টি মতান্তরে ২০
টি ক্যু হয়েছে । পিয়ালের মতও আমিও মনে
করি "আসলে ক্যুর জুজু তুলে মুক্তিযোদ্ধা সামরিক অফিসারদের হত্যা এবং ফাঁসি
দেওয়ার নীলনকশা ছিলো মাত্র।" তবে, শুধু "মুক্তিযোদ্ধা হত্যা" না বলে আমি বলব
জিয়া তার নিরংকুশ ক্ষমতা বজায় রাখার স্বার্থে বিরুদ্ধ বা সম্ভাব্য শত্রুদের
নির্মমভাবে হত্যা করেছেন । "He was a man
who could kill with one hand &eat with the other"-A Zia colleague
during the liberation war in Chittagong. আর জিয়ার এই সব গণহত্যায়
তার ডান হাত ছিলেন জেনারেল মন্জুর বীরউত্তম ,মীর শওকত বীরউত্তম আর লেজেহুমো এরশাদ ।
৭। যিনি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা
প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এমন কথা জোরেশোরে বলা হয় যা একটি মিথ বৈ কিছু নয় ।
৮। যিনি সংবিধান থেকে 'ধর্মনিরপেক্ষতা'র উপরে কাঁচি চালিয়ে
অন্তর্ভুক্ত করেন 'বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম' মুলনীতি হিসেবে স্থাপন করেন -
'সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর
আস্থা আর বিশ্বাস'কে। সংবিধানের ১২ নং
অনুচ্ছেদের উচ্ছেদ করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি করার সুযোগ পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করেন ।
৯। রাজাকারদের শুধু রাজনীতি
করার অধিকারই দেননি তাদের মন্ত্রীসভায়ও স্থান দেন । আন্তর্জাতিক রাজাকার শাহ
আজিজকে বানান প্রধানমন্ত্রী । আরেক রাজাকার মওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ
(শর্ষিণার পীর সাহেব)কে স্বাধীনতা পদক দিয়েছেন ।
১০। মুজিব হত্যায় তিনি জড়িত
ছিলেন কিনা সেই প্রশ্নে না গিয়েও বলা যায় তিনি আগে থেকে জানতেন কিন্তু ঠেকাতে
চাননি এবং পাওয়ারে এসেও তাদের
বিচারের সম্মুখীন তো করেননি বরং বিচারের পথই রুদ্ধ করেন । হত্যার রাজনীতি যে ভাল নয় তা' স্বয়ং জিয়া নিজের জীবন
দিয়ে প্রমান করেন । ৩০ শে মে ১৯৮১ ,
রোজ শনিবার , ভোর সাড়ে চারটা , চিটাগাং সার্কিট হাউজ । বর্ষন
শ্রান্ত রজনীর শেষ প্রহর ,
চট্রগ্রামবাসীদের চকিত
শংকিত করে জেগে উঠল নৈশ স্তব্ধতা ভঙ্গকারী গোলাগুলির শব্দ । সার্কিট হাউজ চত্বর
ভরে গেল ধোয়া আর বারুদের গন্ধে । সার্কিট হাউজে ঘুমিয়েছিলেন তিনি ।গোলাগুলির
শব্দে উঠে বসলেন । কি ব্যাপার ? ঘটনা প্রত্যক্ষ করতে বেরিয়ে
এলেন দরজা খুলে ,
পরনে রাতে শয্যার
পোষাক । গভীর আত্মপ্রত্যয় আর অগাধ আস্থা নিয়ে বেরিয়ে এলেন ।
কি চাও তোমরা? কাছে দন্ডায়মান লে.
মোসলেহউদ্দিন রীতিমত ঘাবরে যান । সে জিয়াকে আশ্বস্ত করে-‘‘স্যার আপনি ঘাবরাবেন না ।
এখানে ভয়ের কিছু নেই ।’’
মোসলেহউদ্দিনের ঠোট
থেকে জিয়ার প্রতি আশ্বাসবানী মিলিয়ে যাবার আগেই লে. কর্নেল মতিউর রহমান তার
এসএমজি থেকে অতি কাছ থেকে ব্রাশ ফায়ার করেন জিয়ার শরীরের ডানদিক একেবারে ঝাঝরা
করে ফেলে । দরজার কাছেই মুখ থুবরে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন জিয়া ।
লেখার ইতি টানছি জিয়াকে
নিয়ে প্রফেসর আহমদ শরীফ স্যারের মূল্যায়ন দিয়েঃ
"জিয়া ছিলেন যুগপৎ ধূর্ত কপট
প্রতারক ষড়যন্ত্রকারী।….এমন অমানুষ সত্যি দুর্লভ "
রেফারেন্সঃ
৬। Bangladesh: A Legacy
of Blood, by Anthony Mascarenhas, Hodder and Stoughton, 1986
৭। প্রাগুক্ত
৯। Anthony Mascarenhas,
প্রাগুক্ত
বিচারের আগেই তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সিদ্ধান্ত ছিল জিয়ার, এই বিচার অসাংবিধানিক ও
রাষ্ট্রীয় অপরাধ ----
কালের কণ্ঠ
সামরিক ট্রাইব্যুনালে কথিত বিচারের আগেই জিয়াউর রহমান
ব্যক্তিগতভাবে লে. কর্নেল এম এ তাহেরকে ফাঁসিতে ঝোলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এ
কারণে ক্যাঙ্গারু আদালতে সাজানো বিচার করে তড়িঘড়ি ফাঁসি কার্যকর করা হয়। কর্নেল
তাহেরসহ অন্যদের বিচার ছিল একটি অসাংবিধানিক ব্যবস্থা। এটি একটি রাষ্ট্রীয় অপরাধ।
এসব কথা লিখিতভাবে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন হংকং থেকে
প্রকাশিত ফার ইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সাবেক প্রতিনিধি লরেন্স
লিফশুলজ। জিয়াউর রহমানের এ পরিকল্পনার কথা তাঁকে জানিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর
উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সেইসময়কার মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মঞ্জুর। লিফশুলজের এ লিখিত
বক্তব্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি শেখ
মোহাম্মদ জাকির হোসেনের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে
রহমান।
হাইকোর্ট গত ২০ জানুয়ারি এক আদেশে লরেন্স লিফশুলজকে ২৬
জানুয়ারির মধ্যে আদালতে উপস্থিত হয়ে কর্নেল তাহেরের বিচার সম্পর্কে তাঁর
অভিজ্ঞতা বর্ণনা করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন। আদালতের এ অনুরোধ রাষ্ট্রপক্ষ ই-মেইলের
মাধ্যমে লিফশুলজকে জানান। কিন্তু তাঁর ছেলে মারাÍক দুর্ঘটনার শিকার হওয়ায় তিনি এ সময় বাংলাদেশে আসতে
অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে তাঁর বক্তব্য হলফনামা আকারে বাংলাদেশের দূতাবাসে দাখিল
করেছেন। একই বক্তব্য ই-মেইলে এম কে রহমানের কাছে পাঠিয়েছেন। ই-মেইলে পাঠানো এ
বক্তব্যই গতকাল আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
কর্নেল তাহেরকে ফাঁসি দেওয়ার পর তাঁর বিচার নিয়ে
লিফশুলজের তিনটি প্রতিবেদন ১৯৭৬ সালের ২৩ ও ২৪ জুলাই ডেইলি স্টার প্রকাশ করে।
লিফশুলজ ১৯৭৬ সালে কর্নেল তাহেরের বিচার পর্যবেক্ষণ এবং এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন
তৈরির জন্য ঢাকায় অবস্থান করছিলেন। কর্নেল তাহেরের গোপন বিচার সম্পর্কে আগে থেকেই
মেজর জেনারেল মঞ্জুরের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন। মঞ্জুর তাঁকে এই বিচার
বিষয়ে বিদেশি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের অনুরোধ করেন। কিন্তু তৎকালীন
সামরিক কর্মকর্তারা তাঁকে বিচারের সংবাদ সংগ্রহ করতে দেননি। তাঁকে কারাগারের সামনে
থেকে আটক করে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর এ কারণেই আদালত লিফশুলজের
বক্তব্য শুনতে চান। ওই তিনটি প্রতিবেদন তাঁর বক্তব্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করা
হয়েছে।
এদিকে কর্নেল তাহেরের বিচারের সময় সেনাবাহিনীতে কর্মরত
মেজর জেনারেল নূরুল ইসলাম শিশুকে আদালতে হাজির হওয়ার সময়সীমা ১৩ ফেব্র“য়ারি পর্যন্ত বাড়িয়েছেন
আদালত।
লিফশুলজ আরো জানিয়েছেন, তাহেরের বিচার ও ফাঁসি ঠেকাতে চেষ্টা করেও সফল হননি জেনারেল
মঞ্জুর। সব আইন-কানুন ও বাংলাদেশের সংবিধান লঙ্ঘন করে তাঁকে ওই বিচারের মুখোমুখি
করা হয়। এ বিষয় নিয়ে তিনি জিয়াউর রহমানের একটি সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু জিয়া তাতে রাজি হননি।
লিফশুলজ আরো বলেন,
‘আমার অভিমত, ১৯৭৬ সালের জুন ও জুলাই মাসে ঢাকায় একটি হƒদয়বিদারক অপরাধ (ট্র্যাজিক
ক্রাইম) ঘটানো হয়েছিল। আমিই ছিলাম এ ঘটনার একমাত্র নিরপেক্ষ সাক্ষী।’ তিনি বলেন, ১৯৭৬ সালের ২৮ জুন ঢাকা
কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে দাঁড়িয়ে প্রত্যক্ষ করেছি। তাহেরের বিচারকে কেন্দ্র
করে সেখানে একটি যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছিল। দেখে মনে হয়েছিল, যেন সেনাবাহিনী যুদ্ধের
প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারাগারের দেয়াল ঘেঁষে মেশিনগান বসানো হয়।
তিনি বলেন, ‘১৯৭৬ সালের জুনের প্রথম দিকে কাঠমান্ডু থেকে ঢাকায় আসি
আমি। এর আগে ১৯৭৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের মতো হƒদয়বিদারক ঘটনা সম্পর্কে
প্রতিবেদন তৈরি করেছি। একই বছরের ৭ নভেম্বরের ঘটনা সম্পর্কেও রিপোর্ট করেছি।’
লিফশুলজ আরো বলেন,
‘আমি ঢাকায় নেমে মেজর জেনারেল মঞ্জুরের সঙ্গে যোগাযোগ করি।
মঞ্জুর একসময় সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ ছিলেন। এর আগে ১৯৭৪ সালে তাঁর
সঙ্গে নয়াদিল্লিতে পরিচয়। তখন মঞ্জুর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হয়ে ভারতে
দায়িত্বরত ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা শুনেছি। তিনি, কর্নেল তাহের ও মেজর
জিয়াউদ্দিন একসঙ্গে পাকিস্তান থেকে কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে এসে
মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। কর্নেল তাহের মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। রিভিউর
বাংলাদেশ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কারণে বাংলাদেশের অনেক সামরিক ও
রাজনৈতিক ব্যক্তির সঙ্গে আমার আগে থেকেই জানাশোনা ছিল।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় আসার কথা শুনে মঞ্জুর খুব খুশি হয়েছিলেন। তিনি
আমাকে একদিন সেনাসদরে ডাকলেন। এক রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়। সে সময় তিনি (মঞ্জুর) আমাকে কর্নেল
তাহেরের গোপন বিচার সম্পর্কে তথ্য দেন এবং এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে
রিপোর্ট করার অনুরোধ জানান। ওই সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি সেনাবাহিনীতে প্রভাব
বিস্তার করছিল।’
লিফশুলজ বলেন, ‘আমি জেনারেল জিয়ার একটি সাক্ষাৎকার নেওয়ার চেষ্টা করি। এ
জন্য তাঁর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আমাকে প্রশ্নের তালিকা তৈরি করতে বলেন। আমি তালিকা
করি। সেখানে ফারাক্কা সমস্যাসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা
সম্পর্কে প্রশ্ন ছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সম্পর্কেও প্রশ্ন লিখি। সেখানে লিখি
কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে আপনার জীবন রক্ষা করা হয়েছিল। কেন তাহেরকে গ্রেপ্তার করা
হলো, কেন তাঁকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না, কেন তাঁকে আটক রাখা হয়েছে? এসব প্রশ্ন লিখি। কিন্তু
আমাকে সাক্ষাৎকার দেওয়া হলো না। এতে আমি আশ্চর্য হইনি। কারণ ওই জেনারেলের অন্য
পরিকল্পনা ছিল।’
লিফশুলজ আরো বলেন,
‘আমি ইংল্যান্ডের ক্যাম্ব্রিজে বসবাস করছিলাম। তখন মঞ্জুর
আমাকে বলেছিলেন, তিনি তাহেরের বিচার বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু
সেনাবাহিনীর তৃতীয় ব্যক্তি হওয়ার পরও তখন তিনি ছিলেন ক্ষমতাহীন।
সামরিক আদালতে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার কর্নেল
(অব.) তাহের এবং তাঁর সঙ্গীদের বিচারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দাখিল করা পৃথক চারটি
রিট মামলা বিচারাধীন। এরই মধ্যে এ মামলায় হাসানুল হক ইনু এমপি, মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এ এম এম শওকত আলী, সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা
মাহমুদুর রহমান মান্না, জাসদ নেতা বদরুল আলমের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন আদালত।
কর্নেল তাহেরের স্ত্রী লুৎফা তাহের, অধ্যাপক মো. আনোয়ার হোসেন ও
একই বিচারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তাঁর আরেক ভাই প্রয়াত ফ্লাইট সার্জেন্ট আবু
ইউসুফ খানের স্ত্রী ফাতেমা ইউসুফ, জাসদ নেতা হাসানুল হক ইনু ও রবিউল আলম ও মেজর (অব.)
জিয়াউদ্দিনসহ ৯ জন চারটি রিট আবেদন করেন।
তাহেরের বিচারের বৈধতা নিয়ে প্রথম রিট আবেদনের পর গোপন
বিচারের নথি তলব করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাহেরের বিচারের জন্য সামরিক আইনের
মাধ্যমে জারি করা আদেশ এবং এর আওতায় গোপন বিচার ও ফাঁসি কার্যকর করাকে কেন
অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে নাÑতা জানাতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার
বিচারের কোনো নথি আদালতে দাখিল করতে পারেনি।
১৯৭৬ সালে সামরিক আদালতে কর্নেল তাহের, হাসানুল হক ইনু এমপির সঙ্গে
মেজর (অব.) জিয়াউদ্দিনসহ অপরাপর ব্যক্তিদের বিচার করা হয়। কর্নেল তাহেরসহ ১৭
জনকে সামরিক আদালতের গোপন বিচারে ১৯৭৬ সালের ১৭ জুলাই সাজা দেওয়া হয়। এরপর ২১
জুলাই ভোররাতে তাঁর ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
রিটে ১৯৭৬ সালের ১৬ নম্বর সামরিক ফরমানের আওতায় আদালত গঠন
ও বিচারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা, দণ্ড বাতিল ও তাঁদের হারিয়ে যাওয়া সামাজিক মর্যাদা ফিরে
পাওয়ার আবেদন জানানো হয়।
No comments:
Post a Comment